আমাদের সম্পর্ক ছিল ৭ মাসের। দুই পরিবারেই এই নিয়ে প্রচুর ঝামেলা হচ্ছিল। কারন বাড়ির কাছেই প্রেমিক এর বাড়ি, সবাই জেনে গিয়েছিলো আমাদের রিলেশন এর কথা। প্রায় প্রায়ই ফোনে কথা বলার সময় ধরা খাইতাম। কতো যে মা- ইর খাইতাম বলার বাহিরে, ফেমেলি প্রবলেম যে কি মারাত্মক খারাপ জিনিস বলার বাইরে🙂। অনেক ভালো ভালো বিয়ের সমন্ধ আসতো, সব রিজেক্ট করে দিতাম। এর জন্য দিন দিন প্রবলেম আরো বাড়তেছিলো। আমার বয়ফ্রেন্ড এর বাসার সবাইকে সে কোনোভাবে রাজি করিয়েছিল, তারপর আমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। কোনোভাবেই আমার ফেমেলি রাজি হচ্ছিলোনা,কারন ছেলে বেকার ছিলো। অনেক অনেক চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ আমরা🙂। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম পালিয়ে যাবো, আমার বয়ফ্রেন্ড এর বাসায় সবাই রাজি, যাই হোক পালিয়ে আসলাম বাড়ি থেকে তার হাত ধরে।সেদিন রাতেই ছেলের বাড়ির সবাই আর আমার বাড়ির সবাইমিলে আমাদের বিয়ে পরিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ.. কিন্তু তারপর থেকে আমার বাবা-মা/ফেমেলির কেউ আমার সাথে যোগাযোগ রাখেনি,বার বার চেষ্টা করার পরও না।দীর্ঘ ৭মাস পর আমার পরিবার আমাদের মেনে নিয়েছে🥰। আলহামদুলিল্লাহ সে এখন নিজের পায়ে দাড়িয়েছে এবং তার সবটুকু দিয়ে আমাকে সুখে রাখার চেষ্টা করে, ৪বছর চলছে আমাদের সংসার জীবনের। আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুখে আছি।🖤 তো সবাইকে বলবো ফেমেলির জন্য ভালোবাসার মানুষকে কখনো ছেড়ে দিবেননা..১-২বছর কিনবা ৫-৬বছর পর ফেমেলি আমাদের ঠিকই মেনে নিবে কিন্তু একবার প্রিয় মানুষটাকে হারালে ৮০ বছরেও ফিরে পাবেন না।💔🙂#asminisha